কিছু স্মৃতি যায় না ভোলাঃ-
আমি ২০০৭ সালে পলাশবাড়ী সরকারি কলেজে ভর্তি হই। সেখানে আমার জীবনের দুই বছর কাটে। প্রথমে আমার বড় ভাই আমাকে সেখানকার এক মেসে তুলে দেয়। আমার জীবনের প্রথম মেস লাইফ,তাই উৎসাহটা একটু বেশি ছিল।যদিও প্রথম প্রথম খারাপ লেগেছিল পরে তা ভাল লেগেছিল। কারন আমি যখন মেস চেঞ্জ করেছিলাম সেখানে আমি আমার কয়েকজন ভাল ফ্রেন্ড পেয়েছিলাম। তারা আজ আমার কাছ থেকে অনেক দুরে,বন্ধু তোদের অনেক মিস করসি । এর সাথে আমি পুতুল স্যার ও মনি আনটি কেও খুব মিস করি। স্যারের কথা তোরাও মিস করিস ? স্যার যদিও আমাদের জন্য কিছু করেন নাই তবুও তার কথা আমরা ভুলবো না! স্যার কিন্তু আসলেই ভাল ছিলেন,তাই না ? অনেক মজার ছিলেন। মানিক তুই চাকরি পাইছিস খাওয়াইলি না, তোরে পাইছি ত খাইছি। রিতু তুই সালা চাপাবাজ স্যারের মত এখনো চাপা মারতেছিস নাকি ল্যাংড়া মকবুলের মত ইচ্ছে মত চলতেছিস? সেতু তুই শালা স্বার্থপর কোন খোঁজ খবর নিস না ।ওহ ! সেতু ফুলছড়ি ঘাটের কথা তোর মনে আছে ? ইস! ব্যাচারার কি একটা অবস্থা হয়েছিল ! সৌরভ তুই কি এখনো আমার উপর রাগ করে আছিস? মাফ করে দে না দোস্ত । যাইহোক ,সোহেল তুমি কি করছ জানাইও!
সব চেয়ে মজার ঘটনা হল আমরা সবাই অনেক মজা করেছিলাম এমন মজা জীবনে আর কখনও হবে কি না জানি না। তোদের কি মনে আছে আমরা রাত ১,২ টার সময় মিতালি রেস্টুরেন্ট এ খাইতে যেতাম। এক দিনে দুই তিন টা করে বাংলা সিনেমা দেখতাম,তাও আবার বাংলা সাকিব খানের ,মেহেদির সিনেমা।রাত ১২ টায় গোবিন্দগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে পলাশবাড়ী এসেছিলাম।আবার যাত্রাপালা দেখে সেতু,সৌরভ ও আমি গোবিন্দগঞ্জ থেকে পলাশবাড়ী হেঁটে এসেছিলাম। নজরুল ভাই এর সাথে কত না মজা করেছি! মাছ চুরি করা,নারকেল চুরি করা,কাঠাল চুরি করা,হিড অফিসের বাল্ব ভাঙ্গা,রিপন ভাইকে ভয় দেখান,মকবুল আংকেলের ঝারি শোনা এই রকম আরও কত মজার সৃতি মনে পরে।
এই ভাবে দুই বছর কেটে গেলেও এর মাঝে আমাদের মধ্যে একটু দুরুত্য বেড়ে যায়। এরপরও আমি আশা করি সবাই এক খানে হবো আবার আমাদের দেখা হবে। এই আশায় শেষ করছি । তোরা সবাই ভাল থাকিস এই কামনায়
-ফরহাদ
আমি ২০০৭ সালে পলাশবাড়ী সরকারি কলেজে ভর্তি হই। সেখানে আমার জীবনের দুই বছর কাটে। প্রথমে আমার বড় ভাই আমাকে সেখানকার এক মেসে তুলে দেয়। আমার জীবনের প্রথম মেস লাইফ,তাই উৎসাহটা একটু বেশি ছিল।যদিও প্রথম প্রথম খারাপ লেগেছিল পরে তা ভাল লেগেছিল। কারন আমি যখন মেস চেঞ্জ করেছিলাম সেখানে আমি আমার কয়েকজন ভাল ফ্রেন্ড পেয়েছিলাম। তারা আজ আমার কাছ থেকে অনেক দুরে,বন্ধু তোদের অনেক মিস করসি । এর সাথে আমি পুতুল স্যার ও মনি আনটি কেও খুব মিস করি। স্যারের কথা তোরাও মিস করিস ? স্যার যদিও আমাদের জন্য কিছু করেন নাই তবুও তার কথা আমরা ভুলবো না! স্যার কিন্তু আসলেই ভাল ছিলেন,তাই না ? অনেক মজার ছিলেন। মানিক তুই চাকরি পাইছিস খাওয়াইলি না, তোরে পাইছি ত খাইছি। রিতু তুই সালা চাপাবাজ স্যারের মত এখনো চাপা মারতেছিস নাকি ল্যাংড়া মকবুলের মত ইচ্ছে মত চলতেছিস? সেতু তুই শালা স্বার্থপর কোন খোঁজ খবর নিস না ।ওহ ! সেতু ফুলছড়ি ঘাটের কথা তোর মনে আছে ? ইস! ব্যাচারার কি একটা অবস্থা হয়েছিল ! সৌরভ তুই কি এখনো আমার উপর রাগ করে আছিস? মাফ করে দে না দোস্ত । যাইহোক ,সোহেল তুমি কি করছ জানাইও!
সব চেয়ে মজার ঘটনা হল আমরা সবাই অনেক মজা করেছিলাম এমন মজা জীবনে আর কখনও হবে কি না জানি না। তোদের কি মনে আছে আমরা রাত ১,২ টার সময় মিতালি রেস্টুরেন্ট এ খাইতে যেতাম। এক দিনে দুই তিন টা করে বাংলা সিনেমা দেখতাম,তাও আবার বাংলা সাকিব খানের ,মেহেদির সিনেমা।রাত ১২ টায় গোবিন্দগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে পলাশবাড়ী এসেছিলাম।আবার যাত্রাপালা দেখে সেতু,সৌরভ ও আমি গোবিন্দগঞ্জ থেকে পলাশবাড়ী হেঁটে এসেছিলাম। নজরুল ভাই এর সাথে কত না মজা করেছি! মাছ চুরি করা,নারকেল চুরি করা,কাঠাল চুরি করা,হিড অফিসের বাল্ব ভাঙ্গা,রিপন ভাইকে ভয় দেখান,মকবুল আংকেলের ঝারি শোনা এই রকম আরও কত মজার সৃতি মনে পরে।
এই ভাবে দুই বছর কেটে গেলেও এর মাঝে আমাদের মধ্যে একটু দুরুত্য বেড়ে যায়। এরপরও আমি আশা করি সবাই এক খানে হবো আবার আমাদের দেখা হবে। এই আশায় শেষ করছি । তোরা সবাই ভাল থাকিস এই কামনায়
-ফরহাদ